শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
নিষিদ্ধ মাদক টাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রি, ফার্মেসী মালিকসহ দুইজনের জেল জরিমানা লালমনিরহাটের লতাবর একরামিয়া রহমানিয়া আলিম মাদরাসার বিভিন্ন খাতের অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে! লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার এঁর আগমন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা এর আংশিক কমিটির অনুমোদন লালমনিরহাট জেলা পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রাপ্ত হলেন যাঁরা! তিস্তায় তরুণীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার! পাটগ্রাম প্রেসক্লাবে চুরি! লালমনিরহাটে স্থানীয় রাজনীতি ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা/ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মাংস বিক্রেতাকে কুপিয়ে আহত করলেন প্রভাষক, প্রতিবাদে জাতীয় মহাসড়কে মানববন্ধন

মাংস বিক্রেতাকে কুপিয়ে আহত করলেন প্রভাষক, প্রতিবাদে জাতীয় মহাসড়কে মানববন্ধন

আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী বাজারে মাংসে একটু চর্বি বেশি দেয়ায় শহীদুল ইসলাম নামে এক মাংস বিক্রেতাকে দা দিয়ে কুপিয়েছেন সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোঃ হয়রত আলী । এ ঘটনায় মোঃ হজরত আলীর শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করে সাপ্টিবাড়ী মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।

 

রবিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রভাষক হজরত আলীর শাস্তির দাবীতে লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কে মানববন্ধন করেছে আহত মাংস বিক্রেতা শহিদুলের পরিবার ও মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। এ ঘটনায় শহিদুলের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম পচাঁ বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

বর্তমানে গুরুত্বর আহত অবস্থায় মাংস বিক্রতা শহীদুল ইসলাম লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ওই প্রভাষকের এমন আচরণে হতবাক সাপ্টিবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।

 

অভিযোগে জানা যায়, সাপ্টিবাড়ী কলেজের কৃষি শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মোঃ হযরত আলী ঘটনার দিন শনিবার সকালে সাপ্টিবাড়ী বাজারে গরুর মাংস ক্রয় করতে যান। মাংসে একটু চর্বি বেশি দেয়ায় মাংস ব্যবসায়ী শহীদুলের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে ওই কলেজ শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে কসাইয়ের ধারালো দা দিয়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় আহত কসাইকে বাজারের লোকজন উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওইদিন রাতেই আদিতমারী থানায় শহিদুলের বড় ভাই সিরাজুল বাদী হয়ে কলেজ প্রভাষক হজরত আলীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

 

মানববন্ধনে কলেজ প্রভাষক হজরত আলীর শাস্তির দাবী জানিয়ে আহত শহিদুলের আত্মীয়-স্বজনরা তাকে ঝাড়ু উচিয়ে প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে তারা বলেন, আগামী ২৪ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত হজরত আলীকে গ্রেফতার করা না হলে বড় রকমের আন্দোলন করা হবে।

 

মাংস বিক্রেতা শহিদুলের বড়ভাই সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমার ছোট ভাই দীর্ঘদিন থেকে সাপ্টিবাড়ী বাজারে মাংস বিক্রি করে আসছে। কোনদিন কারও সাথে কোন কটুকথা হয়নি। হিংসাত্বক মনোভাবের কারনেই ওই কলেজ প্রভাষক আমার ভাইকে কুপিয়েছে। তার মাথায় ১৬টি সেলাই পড়েছে। বর্তমানে আমার ভাইয়ের অবস্থা আশস্কাজনক।

 

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক হযরত আলী সাংবাদিকদের বলেন, মাংসে একটু চর্বি বেশি দেয়ায় তার সাথে শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাকে দা দিয়ে কোপানোর বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার সম্মান ক্ষুন্ন করতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা রটাচ্ছে।

 

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোক্তারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone